Businessshikhon

ই-কমার্স কি? সম্পূর্ণ গাইড

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসার নতুন দিগন্ত আবিষ্কার করুন

১০ মিনিট পড়ার সময়

ই-কমার্স কি?

ই-কমার্স (E-commerce) হলো Electronic Commerce শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। সহজভাবে বললে ইন্টারনেট বা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা করার প্রক্রিয়াকেই ই-কমার্স বলে। অনলাইনে মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের পণ্য বিক্রি হতে পারে যেমন কেউ ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম পেজ খুলে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কোন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে এটা এক ধরনের ই-কমার্স ব্যবসা।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

বর্তমান সময়ে ই-কমার্স এই জনপ্রিয় মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি বিজনেস এখন অফলাইনের পাশাপাশি ই-কমার্সে সংযুক্ত করা হচ্ছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা দূর করে দেশ, বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারছে।

উদাহরণ

  • আপনি যদি Daraz, Amazon, Flipkart বা Facebook Page থেকে কোনো কাপড়, মোবাইল বা বই কিনেন, সেটি হলো ই-কমার্স। 
  • আবার আপনি যদি  নিজের ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোর বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন রকমের  পণ্য বিক্রি করলে, সেটিও ই-কমার্স আওতাধীননিচে বুঝার সুবিধার্থে ই-কমার্স এর ধারণা গুলো তুলে ধরা হলো- 

ব্যবসার গ্রাহক ও বিক্রেতাকে এর উপরে ভিত্তি করে 8 টি মূল ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। 

ই-কমার্সের ধরন:  

  1. Business to Consumer (B2C) 
  2. Business to Business (B2B) 
  3. Consumer to Consumer (C2C)
  4. Business to Consumer (B2C)

 

Business to Consumer (B2C) 

বাংলাদেশে জনসাধারণের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় E-Commerce বিজনেস মডেল B 2 Cএই ব্যবসায়িক মডেলে একজন বিক্রেতা সরাসরি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রয় করে। পাইকারি কিংবা খুচরা বিক্রেতা যে কেউই  সরাসরি গ্রাহকের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করলে তা B2C  কমার্স হিসেবে ধরা হয় বাংলাদেশ বিভিন্ন  ওয়েবসাইট রয়েছে যারা  ফেসবুক ,ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও অনেকে এই ধরনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ওয়েবসাইটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিসর অনেক ব্যাপক। 

বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় B2C ওয়েবসাইট  রয়েছে: 

যেমন : Chaldal , Rokomari, Ajkerdeal,  Gorer Bazar ইত্যাদি  

Business to Business (B2B) 

Business to Businessবা B2Bহলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যার মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অপর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য বিক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ কোন খুচরা বিক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি না করে সরাসরি  একজন পাইকারি বিক্রেতা  তার উৎপাদিত পণ্য  একজন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পণ্য বিক্রয় করেন। পাইকারি খুচরা বিক্রেতার ব্যবসার ধরন কে  ( B to C ) মডেল বলে।  

এই ধারণার ব্যবসার সাথে কম বেশি আমরা সকলেই পরিচিত। যদি এই পুরো কাজটিই করা হয় অনলাইনে, কোনো একটি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তাহলে এই ব্যবসার ধরণ হবে B2B E-Commerce। যেমন Alibaba. হোলসেল মার্কেট পাইকারি বিক্রেতা/ ডিলার ) 

Consumer to Consumer (C2C) 

C2C হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যার মাধ্যমে যখন একজন গ্রাহক থেকে অপর আরেকজন গ্রাহকের কাছে কোনো একটি পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা হয় তখন তাকে Consumer to Consumer বা C2C বলা হয়।  বিজনেস মডেলে একজন গ্রাহকই সরাসরি আরেকজন গ্রাহকের কাছে নিজের  নতুন বা পুরাতন  কোনো একটি পণ্য বিক্রয় করে থাকেন। এটি বেশির ভাগ ব্যবসার অনুরূপ নিয়মিত করা হয় না।  

উদাহরণ : Facebook Marketplace Recyle bin  , Bikroy. Com,  Sell Bazar ইত্যাদি  

ই-কমার্স আজকের দিনে ব্যবসার জগতে এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে। এটি শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেই নয়, ক্রেতাকেও নানা দিক থেকে উপকার করে। নিচে ই-কমার্সের প্রধান সুবিধাগুলো সুন্দরভাবে সাজানো হলো:

📌 ই-কমার্সের সুবিধা 

. সময় ও স্থান সাশ্রয় 

 ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে লেনদেন করতে পারে। দোকানে গিয়ে সময় নষ্ট করার দরকার হয় না। 

২. ২৪/৭ সেবা পাওয়া যায় 

 ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সবসময় খোলা থাকে। ফলে ক্রেতারা দিন-রাত যেকোনো সময়ে কেনাকাটা করতে পারে। 

৩. বেশি পণ্য ও বিকল্প 

 ক্রেতারা একই জায়গায় হাজারো প্রোডাক্ট দেখতে পারে, তুলনা করতে পারে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারে। 

৪. কম খরচে ব্যবসা করা সম্ভব 

 অনলাইন ব্যবসায় দোকান ভাড়া, কর্মচারী, বিদ্যুৎ ইত্যাদির খরচ অনেক কম। ফলে কম খরচে ব্যবসা শুরু করা যায়। 

৫. গ্লোবাল মার্কেট অ্যাক্সেস 

 ই-কমার্স ব্যবসাকে স্থানীয় সীমার বাইরে নিয়ে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। 

৬. সহজ পেমেন্ট সিস্টেম 

 ক্রেতারা মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ইত্যাদির মাধ্যমে দ্রুত টাকা পরিশোধ করতে পারে। 

৭. ডেলিভারি সেবা 

 ঘরে বসে পণ্য অর্ডার করে সরাসরি বাসায় ডেলিভারি পাওয়া যায়। এতে ক্রেতার কষ্ট ও সময় দুটোই বাঁচে 

৮. ডেটা ও কাস্টমার এনালাইসিসের সুযোগ 

 ব্যবসায়ীরা সহজেই জানতে পারে কোন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে, কাস্টমারদের চাহিদা কেমন। এতে ব্যবসা পরিচালনা সহজ হয়। 

৯. প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি 

 অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম ও গুণগত মান সহজে তুলনা করা যায়। এতে প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং ক্রেতারা সঠিক মূল্যে পণ্য পান। 

১০. উদ্যোক্তা হওয়ার সহজ সুযোগ 

 ই-কমার্স অনেককে নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। খুব অল্প বিনিয়োগেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়। 

 

 

ই-কমার্স কি?

ই-কমার্স (E-commerce) হলো Electronic Commerce শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। সহজভাবে বললে ইন্টারনেট বা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা করার প্রক্রিয়াকেই ই-কমার্স বলে। অনলাইনে মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের পণ্য বিক্রি হতে পারে যেমন কেউ ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম পেজ খুলে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কোন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে এটা এক ধরনের ই-কমার্স ব্যবসা।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

বর্তমান সময়ে ই-কমার্স এই জনপ্রিয় মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি বিজনেস এখন অফলাইনের পাশাপাশি ই-কমার্সে সংযুক্ত করা হচ্ছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা দূর করে দেশ, বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারছে।

উদাহরণ

  • আপনি যদি Daraz, Amazon, Flipkart বা Facebook Page থেকে কোনো কাপড়, মোবাইল বা বই কিনেন, সেটি হলো ই-কমার্স। 
  • আবার আপনি যদি  নিজের ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোর বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন রকমের  পণ্য বিক্রি করলে, সেটিও ই-কমার্স আওতাধীননিচে বুঝার সুবিধার্থে ই-কমার্স এর ধারণা গুলো তুলে ধরা হলো- 

ব্যবসার গ্রাহক ও বিক্রেতাকে এর উপরে ভিত্তি করে 8 টি মূল ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। 

ই-কমার্সের ধরন:  

  1. Business to Consumer (B2C) 
  2. Business to Business (B2B) 
  3. Consumer to Consumer (C2C)
  4. Business to Consumer (B2C)

 

Business to Consumer (B2C) 

বাংলাদেশে জনসাধারণের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় E-Commerce বিজনেস মডেল B 2 Cএই ব্যবসায়িক মডেলে একজন বিক্রেতা সরাসরি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রয় করে। পাইকারি কিংবা খুচরা বিক্রেতা যে কেউই  সরাসরি গ্রাহকের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করলে তা B2C  কমার্স হিসেবে ধরা হয় বাংলাদেশ বিভিন্ন  ওয়েবসাইট রয়েছে যারা  ফেসবুক ,ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও অনেকে এই ধরনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ওয়েবসাইটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিসর অনেক ব্যাপক। 

বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় B2C ওয়েবসাইট  রয়েছে: 

যেমন : Chaldal , Rokomari, Ajkerdeal,  Gorer Bazar ইত্যাদি  

Business to Business (B2B) 

Business to Businessবা B2Bহলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যার মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অপর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য বিক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ কোন খুচরা বিক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি না করে সরাসরি  একজন পাইকারি বিক্রেতা  তার উৎপাদিত পণ্য  একজন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পণ্য বিক্রয় করেন। পাইকারি খুচরা বিক্রেতার ব্যবসার ধরন কে  ( B to C ) মডেল বলে।  

এই ধারণার ব্যবসার সাথে কম বেশি আমরা সকলেই পরিচিত। যদি এই পুরো কাজটিই করা হয় অনলাইনে, কোনো একটি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তাহলে এই ব্যবসার ধরণ হবে B2B E-Commerce। যেমন Alibaba. হোলসেল মার্কেট পাইকারি বিক্রেতা/ ডিলার ) 

Consumer to Consumer (C2C) 

C2C হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যার মাধ্যমে যখন একজন গ্রাহক থেকে অপর আরেকজন গ্রাহকের কাছে কোনো একটি পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা হয় তখন তাকে Consumer to Consumer বা C2C বলা হয়।  বিজনেস মডেলে একজন গ্রাহকই সরাসরি আরেকজন গ্রাহকের কাছে নিজের  নতুন বা পুরাতন  কোনো একটি পণ্য বিক্রয় করে থাকেন। এটি বেশির ভাগ ব্যবসার অনুরূপ নিয়মিত করা হয় না।  

উদাহরণ : Facebook Marketplace Recyle bin  , Bikroy. Com,  Sell Bazar ইত্যাদি  

ই-কমার্স আজকের দিনে ব্যবসার জগতে এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে। এটি শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেই নয়, ক্রেতাকেও নানা দিক থেকে উপকার করে। নিচে ই-কমার্সের প্রধান সুবিধাগুলো সুন্দরভাবে সাজানো হলো:

📌 ই-কমার্সের সুবিধা 

. সময় ও স্থান সাশ্রয় 

 ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে লেনদেন করতে পারে। দোকানে গিয়ে সময় নষ্ট করার দরকার হয় না। 

২. ২৪/৭ সেবা পাওয়া যায় 

 ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সবসময় খোলা থাকে। ফলে ক্রেতারা দিন-রাত যেকোনো সময়ে কেনাকাটা করতে পারে। 

৩. বেশি পণ্য ও বিকল্প 

 ক্রেতারা একই জায়গায় হাজারো প্রোডাক্ট দেখতে পারে, তুলনা করতে পারে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারে। 

৪. কম খরচে ব্যবসা করা সম্ভব 

 অনলাইন ব্যবসায় দোকান ভাড়া, কর্মচারী, বিদ্যুৎ ইত্যাদির খরচ অনেক কম। ফলে কম খরচে ব্যবসা শুরু করা যায়। 

৫. গ্লোবাল মার্কেট অ্যাক্সেস 

 ই-কমার্স ব্যবসাকে স্থানীয় সীমার বাইরে নিয়ে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। 

৬. সহজ পেমেন্ট সিস্টেম 

 ক্রেতারা মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ইত্যাদির মাধ্যমে দ্রুত টাকা পরিশোধ করতে পারে। 

৭. ডেলিভারি সেবা 

 ঘরে বসে পণ্য অর্ডার করে সরাসরি বাসায় ডেলিভারি পাওয়া যায়। এতে ক্রেতার কষ্ট ও সময় দুটোই বাঁচে 

৮. ডেটা ও কাস্টমার এনালাইসিসের সুযোগ 

 ব্যবসায়ীরা সহজেই জানতে পারে কোন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে, কাস্টমারদের চাহিদা কেমন। এতে ব্যবসা পরিচালনা সহজ হয়। 

৯. প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি 

 অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম ও গুণগত মান সহজে তুলনা করা যায়। এতে প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং ক্রেতারা সঠিক মূল্যে পণ্য পান। 

১০. উদ্যোক্তা হওয়ার সহজ সুযোগ 

 ই-কমার্স অনেককে নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। খুব অল্প বিনিয়োগেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়। 

 

 

Scroll to Top